বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৭:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অটোপাসের দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর হামলা র‌্যাবকে অতীত ভুলে নতুন উদ্যমে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আছিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা : হিটু শেখের ডেথ রেফারেন্সের নথি হাইকোর্টে ‘নির্দেশ একটাই রাজপথ ছেড়ে উঠে আসা যাবে না’ সিইসিসহ ৫ ইসির পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে: এনসিপি স্ত্রী-মেয়েসহ আব্দুর রাজ্জাকের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ দ্রুত নির্বাচনসহ ৩ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অস্ট্রেলিয়ার ৪৩ সিনেটর-এমপির চিঠি শিশুদের হাতে হাতে নিম্নমানের বই ‘টুকরো টুকরো হওয়ার শঙ্কায় সিরিয়া, গৃহযুদ্ধ আসন্ন’

যে কারণে এবার পৌনে ৩ কোটি বই কম ছাপছে এনসিটিবি

স্বদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩

স্বদেশ ডেস্ক:   

আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নানা ধরনের ব্যস্ততা থাকলেও যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিতে দিন-রাত চলছে বই ছাপানোর কাজ। তবে এ বছর গত বছরের তুলনায় প্রায় পৌনে তিন কোটি বই কম ছাপানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানায়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী অনুমান করা হয়েছিল চার কোটি ১৫ লাখ ৩৮১ জন। তাদের জন্য পাঠ্যবই ছাপা হয়েছিল ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯২৩ কপি। তবে আগামী শিক্ষাবর্ষ অর্থাৎ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে এই শ্রেণিগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ধরা হয়েছে তিন কোটি ৮১ লাখ ২৭ হাজার ৬৩০ জন। তাদের জন্য এবার ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ কপি বই ছাপা হচ্ছে।

হিসেব মতে, ২০২৪ সালে আগের বছরের তুলনায় শিক্ষার্থী কমেছে প্রায় ২৮ লাখ। ফলে তাদের জন্য বরাদ্দ বইয়ের সংখ্যাও কমে এসেছে। সে কারণেই এ বছর পৌনে ৩ কোটি বই কম ছাপা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় পাঠ্যবই ছাপা সংক্রান্ত এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকায় এবার নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরুর অন্তত দুইমাস আগে পাঠ্যবই ছাপার কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়। তারা নভেম্বরের মধ্যেই প্রায় ৯০ শতাংশ উপজেলায় বই পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট নিয়েছেন। সে লক্ষ্যেই দিন-রাত কাজ চলছে।

এনসিটিবি কর্মকর্তারা বৈঠকে জানান, টেন্ডারের পর কিছু জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে বই ছাপানোর কাজে কিছুটা দেরি হয়ে যায়। তারপরও অষ্টম শ্রেণি ছাড়া অন্য সব শ্রেণির বই নভেম্বরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরহাদুল ইসলাম বই ছাপা ও বিতরণ প্রসঙ্গে বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ৯৩ শতাংশ বই ছাপা শেষ হয়ে গেছে। এখন সেগুলো উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হচ্ছে। অনেক জায়গায় সেগুলো পৌঁছেও গেছে। যেগুলো বাকি আছে, সেগুলোও ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পৌঁছে যাবে।

এছাড়া ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই ছাপা শেষ হয়ে যাবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। ষষ্ঠ শ্রেণির ৩০ শতাংশ বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বা যাচ্ছে। নভেম্বরের শেষ নাগাদ ৯০ শতাংশ বই-ই উপজেলায় পৌঁছে যাবে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে সরকার দেশের সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে পাঠ্যবই দিয়ে আসছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এ দায়িত্ব পালন করে থাকে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

এ জাতীয় আরো সংবাদ